হেমন্ত কাল পেরিয়ে গুটি গুটি পায়ে আগমন ঘটেছে শীতকালের। এই ঠান্ডাকে কাবু করেই চলছে নগরবাসীর কর্মব্যস্ততা। শীত নিবারনের জন্য তারা বেছে নিচ্ছে ভারী পোশাক। এর মধ্যে সবার পছন্দের তালিকায় রয়েছে জ্যাকেট। তবে বিশেষ করে, বাইকারদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে জ্যাকেট। কেনো বাইকাররা জ্যাকেট তাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রেখেছেন চলুন জেনে নেওয়া যাক।
নিরাপত্তা
সবকিছুর আগে সেফটি এবং প্রটেকশন। তাই কথায় বলে সেফটি ফার্স্ট। বাইকারদের পছন্দের তালিকায় জ্যাকেট সবার শীর্ষে হওয়ার পেছনের কারণ হলো নিরাপত্তা। বাইকারদের বাইক চালিয়ে যেতে হয় বহুদূর। অফিস, কলেজ,ভার্সিটি সব যায়গাতেই বাইকারদের দেখা মেলে। ভ্রমণ পিপাসু বাইকাররা বাইক চালিয়েই ছুটে চলে দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। কখনো টেকনাফ তো কখনো তেতুলিয়া। শীতকালও যেন তাদের দমাতে পারে না। এই ভ্রমণের সময় শীত নিবারনের জন্য তাদের সবচেয়ে বেশি জ্যাকেট পরতে দেখা যায়। কারণ বাইক চালানোর সময় যদি তারা চাদর পরে বাইক চালায় তাহলে সেটা হয়ে যায় ঝুঁকিপূর্ণ। শুধু কি তাই?
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাইকাররা বাইক চালায়। দুর্ঘটনাবশত অ্যাকসিডেন্ট হয়ে গেলেও জ্যাকেট পরার মাধ্যমে তারা কম ইনজুরিতে পরতে পারে। জ্যাকেটের এলবো, শোল্ডার এরিয়াতে প্যাড যুক্ত করা থাকে যেন ইনজুরি মিনিমাইজ করা যায়। তাই নিরাপত্তার কথা ভেবে বাইক চালানোর সময় তারা জ্যাকেট পরে। তাই আমরা এখন সমস্বরে বলতে পারি, সেফটি ফার্স্ট!
ভিজিবিলিটি
বাইকারদের ভিজিবিলিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ রোড সেফটির জন্য। এজন্য অনেক বাইকার জ্যাকেট পরিধান করে কারণ জ্যাকেটে রিফলেক্টিভ ইলিমেন্ট লাগানো থাকে। যার ফলে অন্য পথচারী কিংবা বাইকার খুব সহজেই বুঝতে পারে অন্যজন ঠিক কত দূরে বাইক চালাচ্ছে। এছাড়াও যখন সন্ধ্যা কিংবা অন্ধকার নেমে আসে তখন পেছন থেকে বাইকারদের সনাক্তকরণের জন্য জ্যাকেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর ঠিক এ কারনেই ট্রাফিক পুলিশেরাও জ্যাকেট পরিধান করে যাতে সাধারণ লোকজন অন্ধকার নামার পরেও তাদের বিশেষ ভাবে শনাক্ত করতে পারে৷
স্টাইল & ফ্যাশন
শুধুমাত্র সেফটির কথা ভেবেই বাইকাররা জ্যাকেট পরিধান করে না বরং ফ্যাশন সচেতন সকল পুরুষই স্টাইলের কথা মাথায় রেখে এটি পরিধান করে। জ্যাকেট পরলে দেখতে অনেক আকর্ষণীয় লাগে।
আরামদায়ক
জ্যাকেট পরতে অনেক বেশি আরামদায়ক। এটি যেমন স্টাইলিশ তেমন আরামদায়ক। এজন্যই পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে এই পোশাকটি।
ফিটিং
ফিটিং এর কথা চিন্তা করলে জ্যাকেট সেরা। সঠিক মাপে জ্যাকেট কিনতে পারলে এটি সেরা ফিটিং দেয়। চাদরের মতো ঝুলে থাকে না কিংবা অতিরিক্ত টাইটও হয় না। তাই ফিটিং এর দিক দিকে জ্যাকেট অনেক আরামদায়ক এবং ফিট।
পরিশেষে
শীতের দিনে সকল পুরুষের স্টাইলিশ পোশাক হিসেবে জ্যাকেট থাকেই। আর আপনার পছন্দের জ্যাকেট, হুডি যদি পেয়ে যান বিশ্বস্ত কোনো ব্র্যান্ড থেকে তাহলে তো কোনো কথাই নাই। অ্যাম্বার লাইফ এমনি একটি ব্র্যান্ড যাদের কাছে সুলভ মূল্যে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির শীতের পোশাক কাস্টমারদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য। তাই দেরি না করে আপনার শীতের পোশাকটি আজই কিনে ফেলুন অ্যাম্বার লাইফ থেকে।